সারাদেশ

শৈলকুপা থানায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলা

  প্রতিনিধি ১০ জুন ২০২৪ , ১২:২৫:৫৯

0Shares

শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের জেরে শৈলকুপা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে শ’ শ’ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থানায় হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ১০ মিনিটের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল সোহান হোসেন, আব্দুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও তরিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ এ সময় রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে ২০/২৫ জন হামলাকারী আহত হন। আহতদের মধ্যে হাসানুজ্জামান, সাত্তার শিকদার, সাইফুদ্দীন, সোনা মিয়া, জালাল উদ্দীন, আব্দুল ওহাব, ইমরান, ফারুক হোসেন, তুহিন, নাফিজ, সালামত, ইমন, এসএম রিয়াজুল, মুইম, জান্নাত হোসেন, আসাদুজ্জামান, ইমন শিকদার, ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, বায়োজিদ হোসেন. আজগার মণ্ডল ও হারুন শিকদারের নাম পাওয়া গেছে।

 

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সবাই নবনির্বাচিত শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মননু ও উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার এমপির সমর্থক।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, একটি মারামারি মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক শিকদারকে গতকাল দুপুরে ধাওড়া গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরই মোস্তাক শিকদারের কয়েকশ’ সমর্থক তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় অতর্কিত হামলা চালায়।

পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়।
শৈলকুপা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান রিংকু অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের ওপর বেআইনি ও অন্যায়ভাবে হামলা করেছে। পুলিশের গুলিতে ৩০/৩৫ জন আহত হওয়ার দাবিও করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া জানান, এজাহারনামীয় আসামি মোস্তাক শিকদারকে গতকাল দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরপরই আসামির পক্ষে কয়েকশ’ উচ্ছৃঙ্খল জনতা তাকে ছাড়িয়ে নিতে জোটবদ্ধভাবে থানায় হামলা চালায়। এ সময় তারা থানার প্রধান ফটক জোরপূর্বক খুলে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে হামলাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশ নিজেদের জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় বাধ্য হয়ে শটগানের গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। তবে পুলিশ কতো রাউন্ড গুলি ছুড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি। এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমপি নায়েব আলী জোয়ার্দার ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর উপস্থিতিতে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম শৈলকুপা থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে গলায় গামছা বেঁধে শৈলকুপা থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দেন। এ সময় মেয়র আরও বলেন, এই দুর্নীতিবাজ ওসি আমাদের এলাকায় সন্ত্রাস করছে। আমরা চাই অতিসত্বর দুর্নীতিবাজ প্রশাসন বিশেষ করে এই ওসি এখান থেকে চলে যাক। তা না হলে ওসির গলায় গামছা বেঁধে তাকে আমরা বিতাড়িত করবো। পৌর মেয়রের এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। তার এই হুমকির দুইদিন পরই থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটলো।


শেয়ার করুন

0Shares

আরও খবর

Sponsered content