বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়ক পথের পাশাপাশি রাজধানীর রেলপথও অবরোধ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন মানবজমিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। স্টেশন মাস্টার বলেন, শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করে রেখেছে। দুই ঘন্টা ধরে ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন ছাড়া হচ্ছে না।
দুপুরে কাওরানবাজার ও মহাখালী রেলগেইট এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ওপরে কাঠের বিভিন্ন গুড়ি ও বাঁশ ফেলে অবরোধ করছে। এসময় কাওরানবাজার রেললাইনের ওপর শুয়ে অবরোধ করতেও দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিকেডের গেইট ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে রেলগেইট দিয়ে কোনো যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়িগুলোকে চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ:
কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের অন্যতম প্রবেশদ্বার অবরোধ করে রেখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর ১টায় মহাসড়কের চৌদ্দপাই এলাকার বাইপাস মোড় অবরোধ করেন তারা।
মহাসড়ক অবরোধ করে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সেখানে অবস্থান নিয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। অবরোধের কারণে ঢাকা পাবনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইস্যুতে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এখন পর্যন্ত অবরোধ চলছে।
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রামে রেল অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে নগরের দেওয়ানহাট এলাকায় রেললাইন আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, কক্সবাজারের ট্রেন আটকা পড়ে।
ওদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আবারও রেলপথ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা ট্রেনটি অবরোধ করেন তারা। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ