প্রতিনিধি ১০ জুলাই ২০২৪ , ৮:২৯:২২
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুর্নীতি আড়াল করতে সরকার ইস্যু তৈরি করছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ডামি সরকার গোটা জাতিকে একটা ইস্যুপ্রেমী বানানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে একেক সময় একেক ঘটনা ঘটাচ্ছে। বেনজীররা যে দুর্নীতি করেছে, আজিজরা যে দুর্নীতি করেছে, অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা যে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে সরকার এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে।
বুধবার (১০ জুলাই) বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কর্তৃক আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আসলে সরকারি এজেন্সিগুলো কী করে? তারা কি দেখে না? তাদের কি শুধু বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে? যখন বিসিএসের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তখন কি সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ ঘুমিয়ে থাকে? মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যখন ফাঁস হয় তখন তারা কী করে? তারা কি দিনের বেলায় ঘুমান? তা না হলে, এত দুর্নীতি হয় কী করে?
ট্রানজিট প্রসঙ্গ টেনে এনে রিজভী বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার জন্য বাংলাদেশের বুক চিরে পার্শ্ববর্তী দেশের রেললাইন নিয়ে যাওয়ার কাজগুলো করা হচ্ছে। অথচ আমাদের সীমান্তে যখন এদেশের নাগরিকদেরকে হত্যা করা হয়, রক্তাক্ত করা হয় তখন এই সরকার কোনো প্রতিবাদ করে না, তারা নিশ্চুপ হয়ে যায়। বাংলাদেশকে একটা চিরস্থায়ী আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, আন্তর্জাতিক খেলাধুলার মধ্যে ফেলে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা তারা হাতে নিয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ তাদের রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশের জমিনকে তারা ব্যবহার করতে চাচ্ছে। ঠিক এই সময় দেখতে পাচ্ছি সরকার জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে দিচ্ছেন। নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য, দেশবিরোধী সব চুক্তি করার জন্য এই কাজ করছে। তাই কখনো আমরা দেখছি আজিজকাণ্ড, কখনো দেখছি বেনজীরকাণ্ড, কখনো দেখছি পিএসসির ড্রাইভারকাণ্ড, একের পর এক কাণ্ড আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডামি সরকার বিভিন্ন কলাকৌশলে জিয়া পরিবার এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্নভাবে হেয় করেও যখন জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি।
এখন নতুন করে খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, যে নেত্রী কখনো কোনো স্বৈরাচারের কাছে আপোস করেননি। তার জনপ্রিয়তাই একজন ব্যক্তির হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা আক্রমণ করবে তারা বন্দি করবে, তারা মামলা দেবে, তারা ক্রসফায়ার দেবে, তারা গুম করবে, এ সমস্ত নির্যাতনের পরেও আমরা সত্যের জন্য মানুষের মুক্তির জন্য এবং মানুষের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, বিএনপি নেতা অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ অনেকে।