আন্তর্জাতিক

যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র চাপ দিলেও পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস ও ইসরায়েলের

  প্রতিনিধি ১৯ আগস্ট ২০২৪ , ৪:৫৯:০০

0Shares

শেয়ার করুন

প্রায় এক বছর ধরে যুদ্ধের নামে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধের এক মাসের মাথায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও এখন পর্যন্ত আর কোনো চুক্তি হয়নি। তবে কয়েক মাস থেমে থাকার পর আবার যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়ার পাশপাশি চাপ প্রদান অব্যাহত রেখেছে। সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। খবর বিবিসির।

গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ৯ বারের মতো সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বিদ্যমান মতবিরোধ দূর করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তিত প্রস্তাব পেশ করার কয়েকদিন পরই তিনি ইসরায়েল সফরে গেলেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে তাদের ওপর চাপ বজায় রাখার চেষ্টা করবেন তিনি। বলবেন, এখন একটি চুক্তি সম্পন্ন করার সময়।

মার্কিনীরা আশা করছেন, আগামী সপ্তাহ নাগাদ একটি চুক্তি তারা বের করে নিয়ে আসতে পারবেন। তবে মার্কিনীদের মতো এতটা আশার কথা বলতে পারছেন না ইসরায়েল ও হামাসের নেতারা। উল্টো চুক্তি সম্পাদনে বিলম্ব ও গোয়ার্তুমির জন্য একে অন্যকে দোষারোপ করছে দুপক্ষ।

 

রোববার (১৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে চুক্তির পথে বাধা এবং নতুন শর্ত ও দাবি উত্থাপন করছেন। যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা নস্যাৎ এবং চুক্তিতে বাধা দেয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটি।

অন্যদিকে একই দিন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য জটিল আলোচনা চলছে। তবে ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য কিছু নীতি বজায় রাখা দরকার।

তিনি বলেন, এমন কিছু জিনিস আছে যার ব্যাপারে আমরা নমনীয় হতে পারি। আবার এমন কিছু জিনিস আছে যেগুলোর বিষয়ে আমরা নমনীয় হতে পারি না এবং আমরা সেগুলোর ওপরই জোর দিচ্ছি। আমরা খুব ভালো করেই জানি কীভাবে দুটির মধ্যে পার্থক্য করতে হয়।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইতোমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।


শেয়ার করুন

0Shares

আরও খবর

Sponsered content