প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:৪৩:২৩
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশে আহত ও নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, নিহত হয়েছেন প্রায় ৮০০ জন, আর আহতের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। এসব হতাহতের পরিবারকে সহায়তা এবং অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে নিহত ও আহতদের পরিবারকে জরুরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করবে। এককালীন ও মাসিক ভাতা হিসেবে এই সহায়তা দেওয়া হবে। এর বাইরেও রয়েছে আরও বেশ কিছু উদ্যোগ। তাই এ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য দেশবাসীর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া আহত ও শহীদদের জন্য গঠিত এ ফান্ডে অনুদান দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহীদ মীর মাহফুজুর রহমানের (মুগ্ধ) ভাই মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ)।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান তারা। একইসাথে এসময় সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকার চেক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এসময় দেশবাসী ও বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, আপনাদের অনুদান আমাদের কাছে জরুরি। যারা আহত তাদের চিকিৎসার জন্য এবং নিহতদের পরিবারের সহায়তার জন্য আমরা এ অনুদান সংগ্রহ শুরু করেছি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই- আগস্টের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের কাছাকাছি আহত রয়েছেন। নিহত প্রায় ৮০০ জন। সরকারের কাছ থেকে একশ’ কোটি টাকা অনুদান নিয়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হলো। এখন এ ফান্ডে অনুদান দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছু উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জরুরি আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। যারা হাসপাতালে ভর্তি এবং আর্থিক সংকটে ভুগছেন এমন শহীদ পরিবারকে সহায়তা করা হবে।
তিনি আরও জানান, প্রথমে শহীদ পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে এককালিন আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এরপর দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। একইসাথে মানসিক হেল্থ কাউন্সিলের মাধ্যমে সেবা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।