প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪:১৬:১২
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বাহিনীটির অনেক সদস্যের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় এ নিয়ে বাহিনীটিতে এক রকম ইমেজ বা ভাবমূর্তি সংকটও তৈরি হয়েছে। সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাসহ বেশির ভাগ পুলিশ সদস্যের পরিবার ও বন্ধু-স্বজনদের কাছে হতে হচ্ছে প্রশ্নের মুখোমুখি। অন্যদিকে যেসব কর্মকর্তা তথা সদস্য অঢেল সম্পদ গড়েছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসব বিষয় ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদেরও। এই ভাবমূর্তি সংকট থেকে কীভাবে বাহিনীর উত্তরণ ঘটানো যায় তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনাও শুরু করেছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশের শীর্ষ স্থানীয় থেকে মাঠপর্যায় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রায় প্রতিটি পদ থেকেই বিতর্কিত কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সদ্য পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তাদের পাঠানো হচ্ছে বাধ্যতামূলক অবসরে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আইন ভেঙে নির্বিচারে গুলি এবং এর নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় সাবেক দুই পুলিশ প্রধানসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে এতকিছুর পরও পুলিশের আস্থা ও ভাবমূর্তি ফেরানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কয়েক মাস আগে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এ বাহিনী ইমেজ সংকটে পড়ে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কিছু দলবাজ প্রভাবশালী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উসকানিতে কোনো কোনো পুলিশ সদস্য আন্দোলনকারীদের ওপর নৃশংসভাবে গুলি চালিয়েছে। যদিও কোথাও কোথাও পুলিশকে আত্মরক্ষার্থে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করতে হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রেও অনৈতিক আগ্রাসী ভ‚মিকার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে।
তবে পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের অনেকের দাবি, আস্থা ও ভাবমূর্তির সংকট দ্রুত কাটিয়ে উঠতে তারা নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও এ কালো মেঘ ক্রমেই কাটতে শুরু করেছে। আন্দোলনকারীদের হত্যার মিশন পরিচালনাকারী মূল হোতা ও উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের উপযুক্ত সাজার আওতায় আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ডিবি কার্যালয়সহ পুলিশের যেসব স্থাপনায় কথিত ‘আয়না ঘর’ রয়েছে তা স্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করা হচ্ছে। এসব কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং পুলিশ তার হারানো ইমেজ ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা করেন তারা।
তবে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুলিশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের এই সহজ সমীকরণ খুব বেশি কাজে লাগবে বলে মনে করেন না অপরাধ বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্য, এ সংকট কাটাতে পুলিশকে আগে কৌশলে গতিশীল হতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয়তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণের বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে। পুলিশের গায়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির যে কালিমা লেগেছে তা মুছে ফেলাও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দাবি, এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনার মতো অনুকূল পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি। এ কারণে তাদের আরও বেশকিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরই পুলিশ কলঙ্ক মোচনে তৎপর হতে পারবে।
তবে পুলিশের অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে সাবেক পুলিশ প্রধান নূরুল হুদা বলেন, পরিস্থিতি যতই প্রতিক‚লে থাক না কেন, পুলিশ সদস্যদের মাঠে যেতেই হবে। অন্তত তাদের পুলিশিং কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পুলিশের উপস্থিতি দৃশ্যমান করতে হবে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলে পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষ আস্থা রাখবে। এছাড়া পুলিশ নিয়ে সার্বিকভাবে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ আছে সেগুলো নিরসনের জন্য পুলিশের সংস্কার করা জরুরি। যদিও তা খুব দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক এই আইজিপি বলেন, পুলিশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায় আছে। কারণ বহু বছর ধরে পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশকে এ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। রাজনীতিকদেরও এ ব্যাপারে সদিচ্ছা থাকতে হবে।
এদিকে অপরাধ বিশ্লেষকরা অনেকেই মনে করেন, পুলিশের হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনতে যেমন জনআস্থা অর্জন করা জরুরি, তেমনি তাদের ভেঙে পড়া মনোবল পুনরুদ্ধার করা এবং মানসিকভাবে ভয়ের আশঙ্কা দূর করে দায়িত্ব পালনের জন্য উপযোগী করে তোলার ব্যাপারেও তৎপরতা বাড়াতে হবে। নাজুক মানসিকতা ও আতঙ্কের মধ্যে থেকে পুলিশের পক্ষে মাঠে নামাও অসম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ‘এরকম কঠিন সময় বাংলাদেশ পুলিশ জীবনে কখনো দেখেনি। কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে পড়েছে। তবে আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। শুরুর দিকে যে অবস্থা ছিল, তা সত্যিই খুব কঠিন এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। ইতোমধ্যে পুলিশ এসব সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। থানাগুলো সচল হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন। ট্রাফিক পুলিশ দৃশ্যমান হয়েছে। দায়িত্ব পালন করেছেন।’
তবে তিনি মনে করেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, পুলিশ সদস্যদের ভেঙে পড়া মনোবল পুনরুদ্ধার করা। মানসিকভাবে ভয়ের আশঙ্কা দূর করে দায়িত্ব পালনের জন্য উপযোগী করে তোলা। পাশাপাশি নগরবাসীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।
ডিএমপির এই শীর্ষ কর্মকর্তার দাবি, তাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে তা যদি ঠিকমতো সততার সঙ্গে, ন্যায্যতার সঙ্গে, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করা যায় তাহলে জনআস্থা অটোমেটিক্যালি ফিরে আসবে।
ডিএমপি সদর দপ্তরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অতীতের গ্লানি মুছে ফেলতে এবং ফোর্সের মনোবল ফিরিয়ে আনতে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হারানো গৌরবময় ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ফিরিয়ে আনতে মটিভেশনাল বিষয়গুলো ইমপ্রুভ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নিয়মিত পিটি-প্যারেড, ড্রিল, ঘন ঘন অ্যাড্রেসিংয়ের মাধ্যমে ইস্যুগুলো সমাধান করার বিষয়ে জোর তৎপরতা চলছে। মনোবল বৃদ্ধির জন্য কালেকটিভ যেসব ইস্যু রয়েছে সেগুলোও সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেননা একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর মনোবল দৃঢ় না থাকলে তাদের দিয়ে কাজ করানো অসম্ভব।
এদিকে ডিএমপিসহ সারাদেশে পুলিশের রুটিন কার্যক্রম ইতোমধ্যে চালু করা গেছে এবং তাদের মনোবল যথেষ্ট চাঙা হয়েছে- পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা এমনটা দাবি করলেও মাঠের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। সংশ্লিষ্টদের দাবি, পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যরা এখনো মানসিকভাবে যথেষ্ট দুর্বল। আর এ কারণে গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপস্থিতিতে নানা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এমনকি বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় ঢুকে গাড়ি, মোটর সাইকেলসহ অন্য সামগ্রী ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। গুটিকয়েক কিশোর এ ঘটনা ঘটালেও পুলিশ তাদের বাধা দিতে সাহস পায়নি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তিমূলক পোস্ট করায় স্থানীয় জনগণ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ (দক্ষিণ) কমিশনারের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে সেখানে অবস্থান করা অভিযুক্ত যুবকের ওপর আক্রমণ চালায়। পুলিশ ওই যুবকের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আপ্রাণ চেষ্টায় তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও তাদের যে আগের মতো ‘অ্যাক্টিভ’ করা যায়নি, সে দৃশ্যও স্পষ্ট। গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতিতে অনেকে আইন ভেঙে গাড়ি চালালেও তারা তা দেখেও না দেখার ভান করছে। গাড়ির কাগজপত্র যাচাই ও মামলা রুজুর ঘটনাও বহুলাংশে কমেছে। চালকদের ধারণা, এসব করতে গিয়ে পাছে তাদের বিপদে পড়তে হয় এই ভয়ে ট্রাফিক পুলিশ এখন এসব বিষয় এড়িয়ে চলছে।
দেশের থানার ওসি ও এসআইদের নিয়ে গঠিত পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনও এ নাজুক অবস্থার কথা অপকটে স্বীকার করেছে। সম্প্রতি সংগঠনের এক সভায় এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ নিয়েও প্রকাশ্যে আলোচনা হয়। ওই সভায় পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর বলেন, ‘পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খেয়াল-খুশিমতো নির্দেশদানের কারণেই পুলিশের এই দশা হয়েছে। আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যে নেতৃত্ব জনগণের কথা ভেবে আমাদের কমান্ড করবে, জনগণের মঙ্গলের জন্য আমাদের কাজ করাবে। কোনো রাজনৈতিক দলের দালালি করে জনগণের মুখোমুখি করে দেবে না। ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, ছাত্র-জনতা যে রকম পুলিশ অফিসার চাচ্ছে, সে রকম পুলিশ অফিসার বাহিনীতে আছে। কিন্তু তারা ফ্রন্টে আসতে পারে না। তাদের খুঁজে বের করে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া জরুরি। তাহলে জনআস্থা ও ইমেজ সংকট কাটানো সম্ভব হবে।
পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের ওই সভায় ক্ষমতালোভী ও দালাল যেসব সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার জন্য পুলিশ সদস্য ও ছাত্র-জনতা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি প্রচলিত আইনে দ্রæত বিচার করারও দাবি জানানো হয়। তাদের সব অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও দাবি জানান অনেকেই।
এদিকে শুধু মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা সদস্যদের মধ্যেই নয়, শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারাও তাদের ইমেজ সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই ভাবমূর্তি সংকট থেকে কীভাবে বাহিনীর উত্তরণ ঘটানো যায় তা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও তাদের কেউ কেউ কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারের দায় বাহিনীর নয় বলে দাবি করে দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
তবে অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যতই বলুক ব্যক্তির দায় বাহিনী নেবে না, কিন্তু যখন একজন আইজিপি কিংবা ডিএমপি কমিশনার যখন অপরাধ-দুর্নীতিতে জড়িয়ে যান তখন তারা দায় এড়াতে পারে না। সাম্প্রতিক ঘটনায় পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়ে যাচ্ছে। এ জায়গা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রধান কাজ হচ্ছে, অসৎদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।