প্রতিনিধি ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩:১৭:২৮
চিঠির শুরুতে আপসানা বেগম লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সদস্যরা যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পত্তি ও সম্পদের বিষয়ে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) কী ব্যবস্থা নিচ্ছে – আমি তা জানতে চাইছি। সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও নানা ধরনের আর্থিক অপরাধের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জিত হয়েছে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম– সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে জানতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে একটি চিঠি দিয়েছেন। এসব সম্পদ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য সময় মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির মহাপরিচালক গ্রায়েম বিগারকে এ চিঠি দেন তিনি। চিঠিতে শেখ হাসিনা সরকারের যেসব মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে– সেগুলোর তদন্ত এবং ব্রিটেনে অর্জিত সম্পদ স্থগিত করা, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া, লন্ডনে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যে সম্পদ আছে, তা বাংলাদেশকে অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া দরকার বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এই আইনপ্রণেতা।
চিঠির শুরুতে আপসানা বেগম লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সদস্যরা যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পত্তি ও সম্পদের বিষয়ে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) কী ব্যবস্থা নিচ্ছে – আমি তা জানতে চাইছি। সম্ভবত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও নানা ধরনের আর্থিক অপরাধের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জিত হয়েছে।
আপসানা বেগম বলেন, লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যে সম্পদ আছে, তার মালিকানা বাংলাদেশের। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ও নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে লড়াই–সংগ্রাম করছে, তাতে সহায়তা করতে এই সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের অবনমন এবং কর্মক্ষেত্রের অধিকার ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এমন প্রমাণও আছে।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শত শত মানুষকে হত্যা করে ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সূত্র দিয়ে আপসানা বেগম বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করে যুক্তরাজ্যে ১৫ কোটি পাউন্ডের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। ইউকে ল্যান্ড রেজিস্টারের তথ্য বলছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী এখানে ২৮০টি সম্পত্তি কিনেছেন।
ভূমি কার্যালয়ের নথি থেকে জানা গেছে, তার মধ্যে ৭৪টি সম্পদ আপসানা বেগমের নিজের আসন পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে অবস্থিত।
চিঠিতে আপসানা বেগম আরও বলেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করে ফিরিয়ে দেওয়া শুধু বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্যতা প্রাপ্তি ও তাদের ভবিষ্যৎ অধিকার সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং যুক্তরাজ্যের সুনাম ও আন্তর্জাতিক রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যও জরুরি।