প্রতিনিধি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১০:২২:৩৪
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মামলা থেকে নাম বাদ দেয়া ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতে বিএনপি ও আ.লীগ নেতারা গোপনে আঁতাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকারের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাদের গোপন বৈঠকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
সলঙ্গা থানার রামারচর এলাকার’ রয়েল রূপালী হোটেলে বৈঠকটি হয় বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগষ্ট আ.লীগ সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার পর বিশেষ সুবিধা নিয়ে মামলা থেকে বাঁচাতে ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ২৭ আগস্ট গভীর রাতে সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকারের সঙ্গে থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ, সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফি কামাল শফি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য, থানা যুবলীগের সভাপতি ও সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম ও আনোয়ার হোসেনের গোপন বৈঠক হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলেন, মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করতেই গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
সলঙ্গা থানা আ.লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশীদ গোপন বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ।’ তবে ওই বৈঠকে তাদের কী বিষয়ে কথা হয়েছে সেটা তিনি বলেননি।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফি কামাল শফি বলেন, ‘বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমানের সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। সেই সম্পর্কের খাতিরে রামারচর এলাকার রয়েল রূপালী হোটেলে বসেছিলাম। তবে আমাদের মামলা সংক্রান্ত কোনো আলাপ হয়নি।’
জানতে চাইলে সলঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান সরকার বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কোনো আঁতাত হয়নি বলে পরিস্কার জানান তিনি।