ঘূর্ণিঝড় দানার খবরে সতর্ক সুন্দরবন বিভাগসহ বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। এদিকে, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৮৪টি মেডিকেল টিম। দুর্যোগ মোকাবিলায় রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপির ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বাগেরহাটের আকাশে কালো মেঘ, উপকূল জুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই জেলার সব নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
বন বিভাগ জানিয়েছে, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন বিগত ঘূর্ণিঝড়গুলোতে বুক চিতিয়ে আগলে রেখেছে গোটা উপকূলকে। সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণীকে রক্ষার কাজে নিয়োজিত ৮ শতাধিক বনকর্মীকে নিরাপদে থেকে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান জানান, সুপার সাইক্লোন দানা মোকাবিলায় বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি সভা করে ৯টি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র, মেডিক্যাল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে নগদ ১৫ লাখ টাকা, ৮শ মেট্রিক টন চাল, ৫ লাখ টাকা মূল্যের শিশুখাদ্য এবং গোখাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ৫০০ মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জরুরি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় জিওব্যাগ মজুত রাখা হয়েছে।
জেলা মৎস্য বিভাগ চিংড়ি খামার অধ্যুষিত মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও বাগেরহাট সদরের খামারিদের নেট জাল দিয়ে খামার সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, সিপিপি, স্কাউট ও উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে জেলার ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৬ হাজার ৬৫১ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হবে।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ