সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফারুক খান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। শিল্পপতি, সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান আজিজ খানের ভাই তিনি।
সুমন ইসলাম (২৩) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বের সকালে তার মা মোছা. কাজলী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ৩৮৮ জনকে আসামি করে সাভারের আশুলিয়া থানায় ওই মামলা করা হয়।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনার ভারত পলায়নের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাইপাইলে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান মাদরাসাছাত্র সুমন ইসলাম। নিহত সুমন ইসলাম পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার আমিননগর শিকারপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ বক্সের সামনে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার উদ্দেশে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হন মাদরাসার শিক্ষার্থী সুমন ইসলাম। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার হাবিবকে ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট দুপুরে মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসন (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন) থেকে জয়ী হয়ে এমপি হয়েছিলেন ফারুক খান।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ