প্রতিনিধি ১৬ নভেম্বর ২০২৪ , ৩:২৩:৪৩
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মী হারিয়েছি, অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী। বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। বিএনপি কোথায় আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ষোলশহরে বিপ্লব উদ্যানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় যুবদলের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মী হারিয়েছি, অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী। বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। বিএনপি আজ কোথায় আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
এরপর অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আবারো বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। গণতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার দেখতে চায়, নিজেদের সংসদ দেখতে চায়। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।
দেশের রাজনীতি কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলে দিতে পারে না আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কি হবে! এ সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
আমীর খসরু বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।
বিপ্লব উদ্যানের কথা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ঐক্যের টান হচ্ছে বিপ্লব উদ্যান। এখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রিভোল্ড করেছিলেন। পাকিস্তানিদের মুখের ওপর বলেছিলেন, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষণা করেছি। সেই ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানিদের তৎকালীন অফিসারদের অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। সেই বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। সেখান থেকে এ ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশি সৈন্যদের নিয়ে তিনি বের হয়েছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। এরপর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন জিয়াউর রহমান।
আমীর খসরু আরও বলেন, জাতির জনক বলতে যা বোঝায়, এগুলো কোনো এক ব্যক্তির কথা নয়, এগুলোর পেছনে অনেক নেতাদের ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে, জীবন যুদ্ধে নামতে হয়েছে, অনেকে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। সবাইকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অনেকের অবদান আছে, যাদের অবদান আছে আজ পর্যন্ত, সবাইকে স্বীকৃতি দিয়ে স্মরণ করতে হবে। শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।