প্রতিনিধি ২৬ নভেম্বর ২০২৪ , ৩:১৬:২৮
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পরিকল্পনায় আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন বলে লেবানিজ সূত্রের বরাতে দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এদিকে, ইসরায়েল এবং লেবানন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি বলে মনে করছেন ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীসভা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত লেবানিজ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই শেষ করতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং ওই এলাকায় হিজবুল্লাহর উপস্থিতির অবসান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবিও বলেছেন, ইসরায়েল এবং লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তি ‘ঘনিষ্ঠ’ এবং আলোচনা সঠিক পথে চলছে।
তবে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটিকে একটি গুরুতর ভুল বলে অভিহিত করে বলেছেন, এখন হিজবুল্লাহকে সামরিকভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ধ্বংস করার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ।
এর আগে মার্কিন বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন গত সপ্তাহ বৈরুত জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটাই তাদের শেষ সুযোগ।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলার মাঝেই ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ দুপক্ষের মধ্যে বৈরিতা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহান্তে ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা জোর দার করেছে। শনিবার বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের তুমুল বিমান হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়। এর পাল্টা জবাবে রোববার হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে মুহুর্মূহু শত শত রকেট হামলা চালায়। ইসরায়েল ফের এর জবাবে সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে আরও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।