প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৫:৫৮:৪৭
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ করছে বিএনপির তিন সংগঠন। সকাল ৯টার দিকে নয়াপল্টন থেকে এই কর্মসূচী শুরু হয়।
লংমার্চে যোগ দিতে সকাল থেকেই যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, লংমার্চ করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজারে গিয়ে পথসভা করা হবে। সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে সমাপনী সমাবেশ করে শেষ হবে কর্মসূচি।
লং মার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন- যারা চট্টগ্রাম দখলের হুমকি দেয় তাদের প্রতিহত করবে এ দেশের দেশপ্রেমিক জনতা।
এ সময় তিনি জয়বাংলা’কে ভারতের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জয় ও পশ্চিমবাংলার স্লোগান বলে আখ্যায়িত করেন। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ স্লোগানে গোটা দেশের প্রতিচ্ছবি ফুঁটে ওঠে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, গত রোববার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়ার পরদিন, যৌথ সংবাদ সম্মেলনে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির এই তিন সংগঠন।
লংমার্চের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দিল্লির সাম্প্রদায়িক শাসকেরা শুনুন! আপনারা লেডি ফারাওকে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় রাখতে সমর্থন দিয়েছেন। আজ ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমালোচনার সম্মুখীন। ভারত চায় না বাংলাদেশ তার জনগণের ইচ্ছায় চলুক।’
লংমার্চ শুরুর আগে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন। ভারত বয়কটের ডাক দিয়ে নানা স্লোগান দিতে দিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন।
‘আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, কলকাতায় জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং উসকানিমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে’ এই লংমার্চ আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে আজ সকাল ৭টা থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের হাজারো নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হতে শুরু করেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার, মাথায় রঙিন টুপি।