প্রতিনিধি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ১:০১:০২
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় জিয়া সাইবার ফোর্স সভাপতি যুবদল নেতা রাশেদ হোসেন হত্যার ঘটনায় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি ছাড়াও পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবির, চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলম ও পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বাটালুসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
মামলাটি করেন নিহত রাশেদুল মিয়ার মা ওজেনা বেগম। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিলাদুন্নবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি এবং মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে পাকুল্যা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে পাকুল্লায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল কবির স্বপদে বহাল থাকার জন্য তার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর আলমকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে বহাল রাখার জন্য গোপনে নানা রকম চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২ ফেব্রুয়ারি কমিটি বাতিল এবং প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন করেন। এ সময় প্রধান শিক্ষকের মদদে পাকুল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ সুযোগের অপেক্ষায় থাকা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দোসররা শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
পরে যুবদল নেতা রাশেদ এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে আসলে হামলাকারীরা রাশেদসহ তার লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাকুল্যা বাজারে বিএনপি নেতা আবদুল হান্নান বাটালুসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা রাশেদ মিয়ার ওপর হামলা করেন। এ সময় মাথায় ইট ছাড়াও ধারালো অস্ত্র, চাপাতি ও রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয়।