প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২৫ , ৬:২৭:২৯
জসিম তালুকদার (চট্টগ্রাম) :মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা ও পৌরবাসী। মশারি, কয়েল আর স্প্রেতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। রাত-দিন মশার উপদ্রব চলছে সমান তালে। মশা নিধনে গত চার থেকে পাঁচ বছরে কোন কার্যকরি তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পৌরবাসীর।
সরেজমিনে বাঁশখালী উপজেলা ও পৌর এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৪ থেকে ৫ বছরে মশক নিধনে তেমন কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন কিংবা স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বর্তমানে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাসিন্দাদের দৈনন্দিন কাজে, রমজানের এবাদতে ব্যাঘাত ঘটছে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টাঙিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পৌর এলাকাবাসী। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে প্রাণীগুলো, যাদের মুখফুটে বলার শক্তি নেই। গোয়াল ঘর, হাঁস-মুরগির ঘরগুলোতে সারারাতই শুনতে পাওয়া যায় তাদের নড়াচড়ার শব্দ। মশার উৎপাতে তাদের নিদ্রাবিহীন রাত কাটছে দিনের পর দিন। মশা তো সবিস্তারে ধ্বংস করা যাবে না তবে এদের উৎপাত কমানোর পদক্ষেপ তো নিতেই পারে সরকারি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক এমনটি আশা করছেন পৌরবাসীরা।
উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়ে মশারি টাঙিয়ে, না হয় ডাবল কয়েল জালিয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে। অনেকেই মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
অধিকাংশ নালা ও ড্রেন, ঝাড় ঝোপ সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলছে নাগরিক ভোগান্তি মশক নিধনে আজও নির্দেশনা পাননি বলে জানান এক পৌর কর্মকর্তা,
পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওয়াসিম তালুকদার জানান, এই পৌরসভার কাউকে কোন দিন মশা দমনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখেননি তিনি। পৌরসভার বাসিন্দা কমান্ডার নুরুল ইসলাম বলেন,গত দুই মাসে পৌরসভায় মশা বেড়েছে কয়েক গুণ। উপজেলা ও পৌরসভার অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কার কাজ না হওয়ায় চলছে নাগরিক ভোগান্তিও। বলা যেতে পারে, সময়মতো রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গা থেকে ময়লা তুলে না নেওয়ায় বাড়ছে মশার উৎপাত।
এদিকে উপজেলা ও পৌরসভার সিংহভাগ বাসিন্দা মশক নিধন অভিযান পরিচালনার জন্য এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।