অন-লাইন

জিয়া সাইবার ফোর্স জেডসিএফ এর কমিটি বাণিজ্য

  প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২৫ , ৩:২৬:০৪

শেয়ার করুন

ফ্যাসিষ্ট হাসিনা পলায়নের পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অন্যতম অন-লাইন সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স এর হুবহু একই নামে নাম করণের অপর সংগঠন জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ এর বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যসহ নানান অভিযোগ উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে

উল্লেখ উক্ত সংগঠন এর বেশীর ভাগ সদস্য জিয়া সাইবার ফোর্স থেকে দূর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে বহিস্কৃত ও হাসিনা সরকারের ভয়ে পদত্যাগ করা ব্যক্তি।ফ্যাসিষ্ট হাসিনা পলায়নের পর এরা আবারও সক্রিয় হয়েছে বলে একাধিক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যায়।

এ নিয়ে “মনজুরুল ইসলাম মেঘ” নামক একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, সাংবাদিক, গবেষক এর ফেসবুক ওয়াল থেকে প্রকাশিত হলো পোস্টটির অনুরূপ-

 

আমার পদত্যাগ নাকি বহিষ্কার? ধুম্রজাল তৈরী হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। বিষয়টি আমি ক্লিয়ার করছি-

(১) আমাকে গতবছর শেষের দিকে একটি ফেসবুক রিকোয়েস্ট পাঠায় ফাইজাল খান, আইডি থেকে। আইডিতে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন কিছু না থাকলেও বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার ছবি দেখে এড করি (একই ছবি কে এম হারুন এর ফেসবুক কভারেও আছে)। এর কিছু দিন পরে তিনি আমার মোবাইল নং নেন। এবং কল করেন, চ্যাট এবং কল লিস্ট যাচাই করলেই সত্যতা জানতে পারবেন।

তিনি নিজেকে “জিয়া সাইবার ফোর্স” নামের সংগঠনের চেয়ারম্যান পরিচয় দেন। আমাকে তার সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে বলেন। তিনি আরো বলেন এই সংগঠনের উপদেষ্টা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাই। (টুকু ভাই উপদেষ্টা এর সত্যতা পাইনি)

তিনি আমাকে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করতে চাইলে আমি অপরাগতা প্রকাশ করি, আমার বর্তমান সমাজিকতার বিষয় চিন্তা করে। এর পরে তিনি যুগ্ম-মহাসচিব প্রস্তাব করলে আমি তাকে জানাই ভেবে বলবো।

গুগল করে তখন আমি আরো একজন চেয়ারম্যান হিসেবে পাই, তার নাম কে এম হারুন। আমি তখন বিষয়টি ছোট ভাই রাকিব (ছাত্রদল নেতা) তাকে জানাই। সে জানায় ফাইজাল খান প্রতিষ্ঠাতা।

এর পরে ফাইজাল খান আমাকে বলেন আমাকে ভাইচ চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তিনি সাভার আশুলা কমিটি করার কথা বলেন। আমি সাভার কমিটির জন্য যারা চেষ্টা করেছিলো তাদের সাথে ফাইজাল খানের যোগাযোগ করে দেই। এর পরে ফাইজাল খান নিজে এসে সাভার উপজেলা কমিটি গঠন করে। সেই দিন আমি ব্যানারে আমার নাম লেখতে দেইনি। চেক করে দেখতে পারেন।

এর পরে জানুয়ারির ২০ তারিখ সম্ভবত আমি প্রথম বার অফিসে যাই। তাদের সাইবার এক্টিভিটিস বিষয়ে তেমন কাজ না দেখলেও কমিটি বিষয় নিয়ে মাতামাতি দেখে অবাক হই।

এর পরে বইমেলা, আমি ব্যস্ত হই সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব নিয়ে।

আশুলিয়া কমিটি গঠন হলে তারা একটা অনুষ্ঠান করে ব্যানার আমাকে না জানিয়ে তৈরী করে, সেই জন্য আমার নাম আসে। আমি সব সময় ব্যানারে আমার নাম দিতে নিষেধ করেছি। এর পরে রমজান আসে সাভার কমিটি ইফতার আয়োজন করলে আমি ব্যানারে নাম দিতে নিষেধ করি। তারা কারু নাম দেয়নি।

ফাইজাল জানালো জিয়া সাইবার ফোর্স একটা ইফতার অনুষ্ঠান করবে সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি থাকবেন। তখন আমরা অনুমান করতে ছিলাম হয়তো এই সংগঠন সহযোগী সংগঠন অনুমোদন পাবে।

তারা কার্ড করলো জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ এর নামে, গলায় কার্ড দিলো জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ এর নামে। কিন্তু যে ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সেই অনুষ্ঠানের নাম ছিলো “জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সম্মানে ইফতার”। এখানে জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন গ্রুপের এক্টিভিস্টরা অংশ গ্রহণ করলেও ফাইজাল এটাকে জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ এর ইফতার বলে পরিচয় করে দেয়ার চেষ্টা করেছে।

হয়তো এই ইফতার অনুষ্ঠানের অর্থ জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ দিয়ে থাকতে পারেন (সঠিক তথ্য নেই আমার কাছে)। কিন্ত এই যে মিথ্যাচার, এটা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ হতে পারেনা।

বিষয়টি আমার ভালো লাগেনি। এর মধ্যে সাভার পৌর কমিটি গঠন হলে আমি জানতে চাই এত কমিটি বাণিজ্য কেনো। কমিটি করতে গণতন্ত্র চর্চা করতে হয়। অনিয়ম করায় কমিটি স্থগিত হয়।

২৮ রমজান আশুলিয়া কমিটি একটা ইফতার আয়োজন করে আমি যেখানে বক্তিতায় বলেছি “প্রয়োজনে পদত্যাগ করে কথা বলবো” অনেকে রেকোর্ড করেছেন সেখানে পাবেন। রেকোর্ড না থাকলেও যারা উপস্থিত ছিলেন তারা জানেন মনে রেখেছেন অনেকে।

আমি ঐ দিন রাতেই ফাইজাল কে অবগত করি আমি টিমে থাকছিনা। এরপর থেকে তাদের সাথে আমার দূরত্ব তৈরী হয়। তবুও ভদ্রতার খাতিরে যোগাযোগ থাকে। পদত্যাগ কার্যকর যেহেতু হয়নি।

আর আমি যেহেতু আনুষ্ঠানিক ভাবে সদস্য হইনি, আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটির পরিচিতি বা সম্মেলন হয়নি, আমাকে কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে চিঠি দেওয়া হয়নি, সেহেতু পদত্যাগ আনুষ্ঠানিক ভাবে করতে হবে এমন গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়নি। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে ফাইজাল আমাকে কল করে লিখিত পদত্যাগ দিতে বললে, আমি প্রথমে দিতে চাই নি, পরে দিয়েছি।

ফাইজাল হোয়াটস এপস গ্রুপের একটা স্ক্রীনশর্ট আমাকে দিয়ে বলেন গ্রুপে লেখে দিয়েছি আপনাকে অব্যাহতির বিষয়টি বাহিরে যাবেনা। কারন ততক্ষনে সে আমাকে গ্রুপ থেকে লিভ করে দেওয়ায় স্ক্রীনশর্ট দিয়ে প্রমাণ দেয়। সে যদি ১৬ তারিখ আমাকে বহিষ্কার করে থাকে ১৮ তারিখ স্ক্রীনশর্ট দিয়েছে কেনো ? বুঝে নেন।

ঠিক তখন ই মোবাইলে কথা চলাকালীন দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ এর সাংবাদিক রুহুল আমিন আমাকে অব্যাহতির পত্র পাঠায়, আমি ফাইজাল কে বললে সে স্ক্রীনশর্ট চায়। আমি দেই। সে আমাকে মিডিয়াতে কি বলতে নিষেধ করে।

একই টাইম জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ এর প্রধান সমন্বয়ক Muhammad Wahid Un Nabi ভাই এই প্রথম আমার সাথে অর্ধঘণ্টার বেশি সময় কথা বলেন এবং তার কথায় আমি সন্তুষ্ট। তিনি দেশের জন্য কাজ করতে বলেন। যেখানেই যাই ভালো কাজ করতে বলেন।

(২) এর পর থেকে দেখি জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ এর কিছু লোক আমার নামে উল্টাপাল্টা লেখা শুরু করে। সব স্ক্রীনশর্ট রাখা হচ্ছে, প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মিথ্যা সব সময় মিথ্যা। নবী ভাই শান্ত থাকতে বলেছেন আমি শান্ত আছি এখন পর্যন্ত কিছু বলিনি। বলার সময় আসলে বলবো।

(৩) রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে খালদুন ও প্রিন্স ভাইকে সব সময় বলেছি জেডসিএফ ও জিসাফো দুটি কমিটি যেনো একই জেলায় না হয় একত্রে করবেন, মিলে মিশে করবেন। গ্রুপিং দলের জন্য (বিএনপির) ক্ষতি করবে। ফাইজাল একদিন আমাকে বলেছিলো ভাই দেখেন আপনি দুটি গ্রুপ কে মিলাতে পারেন কিনা। দুই গ্রুপ কে একত্র করার চেষ্টা “জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সম্মানে ইফতার” পরবর্তী করা যেতো। সেটা কেনো হয়নি, যাদের কারনে হয়নি, তারা উত্তর দিবে।

(৩) বগুড়াতে জিসাফো এর কমিটি আছে জেডসিএফ এর কমিটি হচ্ছে, এই বিষয়ে আমি খালদুনসহ বগুড়ার টিমের কাছে গ্রুপে জানতে চাই গত বৃহস্পতিবার রাতে। এর আগে খালদুন জেডসিএফ এর গ্রুপ কলে অভিযোগ করেন মেহেদী হাসান রাব্বী বগুড়া কমিটির নামে অর্ধলক্ষ টাকা নিয়েছে। সেটা পরের দিন আমাকে জানালে আমি প্রমান দিতে বলি। আমি ওয়াসি ভাই কে কল দিলে তিনি প্রমাণ চান। আমি খালদুনকে জানাই প্রমাণ ওয়াসি ভাই, সুজা ভাই ও আমাকে পাঠান। আমাকে ভুক্তভোগী রউফ ভাই কল করেন, এই রউফ ভাইয়ের সাথে আমার প্রথমবার কথা হয়। ইতোপূর্বে তার সাথে আমার কখনোই কথা বা দেখা হয়নি।

তিনি প্রতারিত হবার বিষয় জানান, এবং পরের দিন সকালে আমাকে হোয়াটএপসে প্রমাণ পাঠায়। এখনো স্ক্রীনশর্ট আছে। তিনি নিজে একটি ফেসবুক পোষ্ট দিয়ে এই বিষয়ে তুলে ধরেন। এবং তিনি আরো তুলে ধরেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আমি (মেঘ) পদত্যাগ করেছি। তিনি তার ফেসবুক পোষ্ট লিংক আমাকে সেচ্ছায় পাঠান, ফাইজাল তার পোষ্টে কি কমেন্ট করেছে সেটাও স্ক্রীনশর্ট পাঠায়। এসব স্ক্রীনশর্ট আমার কাছে আছে।

(৪) সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি উঠলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়, অথচ দেখলাম জেডসিএফ উল্টা আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছে। মেঘ তো যমুনার জলে ভেসে আসেনি, বগুড়ার কাদাজল থেকে এসে এই শহরে নিজস্ব পরিচয় তৈরী করেছে। আমার বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করতেছে তাদের জবাব আমি পরে দিবো আগে সত্য তুলে ধরি।

(৫) জিয়া সাইবার ফোর্স-জিসাফো ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে অদ্যবধি সক্রীয় আছে। এই সংগঠনের নেতা KM Harun তিনি মামলা হামলা ও গুমের শিকার। ফাইজাল খানের একটি বড় লেখায় ফাইজাল নিজে লেখেছে ২০২০ সাল থেকে তারা সংগঠন স্থগিত করেছে। ২০২৫ সালের ৫ আগস্টের পরে এসে জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ নাম চালু করেছে।

যুক্তির খাতিরেও যদি ধরে নেই ২০১৪ সালে ফাইজাল খান এটার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তবুও তো তিনি এখন জিয়া সাইবার ফোর্স এর দাবিদার হতে পারেননা। কারন তিনি পালিয়ে গেছেন কে এম হারুন একাধিক মামলা কাধে নিয়ে এবং গুমের শিকার হয়ে এই সংগঠন চালিয়ে নিয়েছেন। আমি জানতে পারি Sameer Rayhan নিজেও একজন প্রতিষ্ঠাতা।

এখন কথা হলো কে সত্য কে মিথ্যা এটা আমি যাচাই করার কে?

আজ আমি যদি “জিয়া সাইবার ফোর্স-জেডসিএফ” এর সমর্থন করি শত্রু “জিয়া সাইবার ফোর্স- জিসাফোর”। আবার জিসাফোর সমর্থন করলে শত্রু জেডসিএফ এর। আগে আমার সমালোচনা করতো হারুন সাহেব এর অংশের লোক। এখন সমালোচনা করে ফাইজাল সাহেবের লোকেরা।

(৬) আমার স্পষ্ট কথা, যারা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করতেছে তাদের সম্পর্কে আমি জানি, সবার সমালোচনার জবাব দিতে নেই। যার যা করার করুক। আমি এই স্টাটাস তাদের জন্য দিয়েছি দেখুন মেঘ এক দিঘীর জল দ্বিখন্ডিত করার বিদ্যা শিখেনি।

জিসাফো আমার বিএনপির, জেডসিএফ আমার বিএনপির কথা বলে। কে সঠিক কে বেসঠিক সেটার জাজমেন্ট বিএনপি করবে। আমার মনে হয়েছে আমি যেকোন এক পক্ষের হতে পারবোনা। কারন আমি দিঘীর জল দুই ভাগ করতে পারবোনা। আমি ঠিক জানিনা এই সংগঠনে ঠিক কার কি অবদান। ফাইজাল ন্যায়ের পথে থাকলে সম্মান পাবে, হারুন ন্যায়ের পথে থাকলে সম্মান পাবে।

আমার দ্বারা কারু কোনদিন ক্ষতি হয়নি কোন দিন ক্ষতি হবেনা। তারা কিছু বিষয়ে অভিযোগ তুলেছে যে আমি তথ্য গোপন করেছি। আসলে আমি কোন তথ্য গোপন করিনি। তারা যে বিষয় নিয়ে সমালোচনা করতেছে সেগুলি আমার পেজে আছে, এখনো আছে, আমি তথ্য গোপন করলে ডিলেট করে দিতাম। সেটা তো করিনি। সৎ থাকলে গোপন করতে হয়না।

তারা যদি আমাকে প্রশ্ন করতো আর আমি উত্তর না দিতাম তখন বলতে পারতো, আমি তথ্য গোপন করেছি। বরং এটা পরিস্কার হয়েছে, যখন কেউ ফাইজালের মতের বিরুদ্ধে দূরে চলে যায় তখন ফাইজাল তাদের নামে দুর্নাম রটায়। এটা তার স্বভাব। আমাকে অনেক সাবেকরা জানিয়েছেন। ফাইজালের এই সংগঠনের ভূমিকা কি ইফতার অনুষ্ঠান করা? কমিটি করা? বিএনপির ঠিক কি কি উপকারে এসেছে এই সব সংগঠন ?

আমি জুলাই আন্দোলনের আহত এবং মামলা খেয়েছি আন্দোলন চলাকালীন। এটাই আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়। আর আমি কি অবদান রেখেছি দেশ, জাতি ও দলের জন্য সেটা জনগন মূল্যায়ন করবে।

(৭) মিথ্যা কথা ও মিথ্যা বলে কেউ সাময়িক হাসতে পারে কিন্তু কান্না করতে হবে সারাজীবন। তারা এত মিথ্যা ছড়িয়েও আমাকে এক বিন্দু নড়াতে পারেনি। কারন আমি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন। সেটা যারা আমাকে চিনে জানেন।

এখন আপনারাই বলেন যে সংগঠন দুই ভাগে বিভক্ত এই সংগঠন কে করবে ? কেনো করবে? কি করবে?

এই সংগঠন করলে হয় আপনাকে বাবা নিতে হবে মাকে বাদ দিয়ে অথবা মা কে নিতে হবে বাবাকে বাদ দিয়ে। ফাইজাল ও হারুন কে অনুরোধ করবো, আপনারা এক হয়ে একটি শক্তিশালী সংগঠন করুন অথবা এসব দোকান বন্ধ করুন।

মেঘ কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগঠনের প্রয়োজন নেই। মেঘ সবার দোয়ায় নিজের পরিচয়ে পরিচিত।

আমাকে তারা যতই সমালোচনা করুক, আমি বিশ্বাস করি জিয়া সাইবার ফোর্স সকল গ্রুপ এক হবে এবং ভালো কাজ করবে। তারা যদি ইগো নিয়ে বসে থাকে সেটা তাদের ব্যাপার।

উল্লেখ্য, ফাইজাল খান নিজেই ২০২০ সালে জিয়া সাইবার ফোর্স থেকে বহিস্কৃতি তার দেয়া পদের ভিত্তি নেই, সেখানে ফাইজাল কর্তৃক আমাকে বহিস্কারের তো প্রশ্নই আসেনা।

***আমি কেবল মাত্র তারেক রহমান অথবা তিনি কর্তৃক কনসার্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত মূল দলের নেতার কাছে আমার বিএনপির বিষয়ে কৈফিয়াত দিতে বাধ্য, অন্য কারু কাছে বাধ্য নই। আমি বিএনপির জন্য কি করেছি সেটা বিএনপি জানলেই হবে, আমার তাতেই চলবে।

বি.দ্র: আমার উক্ত লেখার প্রত্যেকটি কথার প্রমাণ আমার কাছে আছে। জনাব রউফ ভাইয়ের ভয়েস রেকোর্ড আছে। দৈনিক আমার দেশ যে সংবাদ প্রকাশ করেছে সেটির প্রতিবাদ ইতোমধ্যেই আমি পোষ্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছি। কমেন্টে সেই প্রতিবাদের লিংক দিলাম।

মনজুরুল ইসলাম মেঘ
চলচ্চিত্র পরিচালক, সাংবাদিক, গবেষক

ফেসবুক পোস্ট লিঙ্ক:https://www.facebook.com/share/p/18r7rubksX/


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content