প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২৫ , ৫:২৮:১১
◻️জসিম তালুকদার, চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা কালাবিবির দীঘি থেকে বাঁশখালী–চকরিয়া ঈদমনি পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্তকরণে ডিপিপির (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উপর ‘প্রকল্প যাচাই কমিটির’ সভা আহ্বান করেছে মন্ত্রণালয়। আগামী ২৪ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের–সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আঞ্চলিক এই মহাসড়কটির ডিপিপি পর্যালোচনায় সভা আহ্বান করে। আনোয়ারা কালাবিবির দীঘি থেকে চকরিয়া ঈদমনি পর্যন্ত ৫৮ কি.মি. এই সড়ক প্রশস্তকরণে ডিপিপিতে প্রাক্কলিত ব্যয় নিধারণ করা হয়েছে ১২শ’ ৮৯ কোটি টাকা।
জানা গেছে, আনোয়ারা কালাবিবির দীঘি থেকে বাঁশখালী,টইটং,পেকুয়া,
বদরখালী,চকরিয়া ঈদমনি পর্যন্ত ৫৮ দশমিক ২০কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও উন্নীতকরণে দোহাজারী সড়ক বিভাগ থেকে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) পাঠানো হয়েছে ঢাকা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে।
চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জানা গেছে, কর্ণফুলী ট্যানেলকে বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী করা এবং বিদ্যামান চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমানোর লক্ষ্যে আনোয়ারা থেকে বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া–বদরখালী হয়ে চকরিয়া ঈদমনি পর্যন্ত এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি প্রশস্তকরণে এবার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের–সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব টিনা পাল গত ১৫ এপ্রিল এ সভার নোটিশ ইস্যু করেছেন। সভায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সড়ক জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু কুমার গণমাধ্যম কে বলেন, “আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবির দীঘি থেকে বাঁশখালী, টইটং,পেকুয়া,বদরখালী,চকরিয়া ঈদমনি পর্যন্ত ৫৮ দশমিক ২০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত ও উন্নীতকরণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) আমি প্রেরণ করেছি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে।”
তিনি আরো জানান, এই ডিপিপি প্রস্তাবনার উপর আগামী ২৪ এপ্রিল দুপর ১২ টায় মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প যাচাই কমিটির পর্যালোচনা সভা ঢাকা আবদুল গনি রোডস্থ বিদ্যুৎ ভবনের ডিপিডিসি সভাকক্ষে আহ্বান করা হয়েছে। সভায় আমিও যাবো। প্রকল্প প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১২শ’ ৮৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।”
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারের বিকল্প সড়ক হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মাইলফলক হয়ে থাকবে। বাঁশখালী উপজেলা হয়ে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে। এই সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা অনেকাংশেও কমে যাবে।এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগাযোগ সুবিধা ভোগ করবে।