◻️ জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার, চট্টগ্রাম :
পাহাড় ন্যাড়া,জুমচাষ,গাছ কাটা,পানির উৎস দখল ভরাটে এই সংকট সৃষ্টি
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রাণ হিসেবে পরিচিত ঝিরি ও ছড়াগুলোর জলপ্রবাহ শুকিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়িতে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বিচারে গাছ ও পাহাড় কাটা, অপরিকল্পিত জুমচাষ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে এই সংকট দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় বছরের বেশির ভাগ সময় ঝিরি ও ছড়ার পানির উপরই নির্ভর করে খাবার ও ব্যবহার্য পানির জোগান চলে। কিন্তু চলতি শুষ্ক মৌসুমে বেশিরভাগ ঝিরি ও ছড়াই প্রায় শুকিয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বিচারে গাছ ও পাহাড় কাটা, অপরিকল্পিত জুমচাষ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে এই সংকট দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা দৈনিক আজকের বাংলা জেলা প্রতিনিধি জসিম তালুকদার কে জানিয়েছেন, পাহাড় ন্যাড়া করে জুমচাষ, বনের গাছ কাটা এবং পানির উৎসগুলো দখল ও ভরাট করার কারণে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা বন কর্মকর্তা বিভিন্ন মিডিয়া বলেন, “স্থানীয় প্রজাতির চিরসবুজ বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে বনায়ন গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে করে ভবিষ্যতে ছড়া ও ঝিরিতে পানির প্রবাহ ফেরানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
তিন পার্বত্য জেলার জন্য ছড়া-ঝিরি কেবল পানির উৎসই নয়, বরং প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পরিবেশবিদরা বলছেন, পাহাড়ি অঞ্চলের ঝিরি ও ছড়াগুলো যদি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়, তাহলে এই অঞ্চলে মানুষ, বন্যপ্রাণী এবং কৃষির ওপর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে পাহাড় ও বন ধ্বংসকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। পাশাপাশি প্রকৃতি রক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সুসমন্বিত উদ্যোগ জোরদারের আহ্বান জানান তারা।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ