প্রতিনিধি ৩১ মে ২০২৫ , ৮:১০:৫৭

◻️ জসিম তালুকদার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার সমুদ্র ও সাঙ্গু নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসলি জমি ও সবজির ক্ষেত এর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। বাঁশখালীর পূর্বাঞ্চলের পুইছড়ি, চাম্বল, শীলকুপ, জলদী, বৈলছড়ি, কালীপুর, সাধনপুর, ও পুকুরিয়া এলাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানিতে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলা দন্ডায়মান ফসল ও গ্রীষ্মকালীন শাকসবজী পরিমাণ ৩২২০ হেক্টর , দূর্যোগ আক্রান্ত ফসল ১৫৫০.০ হেক্টর মাঠে দন্ডায়মান আউশ বীজতলা ৮০ হেক্টর। দূর্যোগে আক্রান্ত পরিমাণ ৭০ হেক্টর।
বৃহস্পতিবার ( ২৯ মে) সকাল থেকে শুক্রবার বিকেলে পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে এবং পাহাড়ি ঢলে ছনুয়া, গন্ডামারা, সরল, বাহারছাড়া,খানখানাবাদে জোয়ারে প্লাবিত বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা। নদী তীর প্লাবিত হয়ে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
এই চরম দূর্ভোগের মধ্য গত দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ ছিলনা বাঁশখালীতে। স্থানীয়রা জানায়, নদীর তীরবর্তী টেক সই বাঁধ না থাকায় খুব সহজে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। তীর রক্ষা কাজ চলমান থাকলেও টেকসই বাঁধ এখনো নির্মাণ হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাজেটের (রিপেয়ার ও মেইটেনেইজ) আওতায় বাঁশখালীর উপকূলীয় গন্ডামারায় ১৫৫১ মিটার, ছনুয়াতে ৩৫০ মিটার, শেখেরখীলে ১৭৫ মিটার, চাম্বলে ২০০ মিটার, ও খানখানাবাদে ৮৩০ মিটার কাজ চলমান রয়েছে। যা আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবার কথা রয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান উন্নয়ন কাজে নানা অসঙ্গতি এবং এ কাজ পেতে স্থানীয় জনগণের মাঝে দ্বন্দ্ব সংঘাতের ফলে সুফল পাচ্ছে না উপকূলের জনগণের অভিযোগ।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, চলমান ঝড়বৃষ্টিতে উপকূলীয় ছনুয়া, খানখানাবাদ এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকার খবর পেয়েছি। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।

















