◻️ জসিম তালুকদার, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় সমুদ্রে ও কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে প্রতিবছর ৪০ হাজার ১১০ মেট্রিকটন প্লাস্টিক জাল ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে ২ হাজার ৭৪০ মেট্রিকটন প্লাস্টিক জাল ফেলে দেওয়া হচ্ছে সাগরে। এই পরিত্যক্ত জাল বা ‘ভূতুড়ে জাল’ সামুদ্রিক প্রাণীগুলোর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, অর্থনীতি বিভাগ ও মার্কেটিং বিভাগের একদল গবেষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্লাস্টিক ফ্রি রিভার্স এন্ড সিজ ফর সাউথ এশিয়া প্রকল্পের আওতায় ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেজ ও সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম এই গবেষণার তত্ত্বাবধান করে।
গবেষণায় উঠে এসেছে- বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ২-৭ মিটার পলিথিন স্তর তৈরি হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে-চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিবছর দুই লাখ ৫৭ হাজার ৯১৩ মেট্রিকটন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ বা ৭০ হাজার ৮৩৩ মেট্রিকটন প্লাস্টিক সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে নালা-নর্দমা এবং কর্ণফুলী নদীতে জমা হয়ে ভয়াবহ দূষণের সৃষ্টি করছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে বাংলাদেশের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরী। আর এই ব্যবস্থাপনায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্লাস্টিক অপচনশীল অবস্থায় দীর্ঘদিন পরিবেশে থেকে যায়, বাড়ায় দূষণ। তবে অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় তা পরিবেশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার বিষয়ে গণ সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরাও মতামত ব্যক্ত করেন।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ