উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে সুরমা, যাদুকাটা ও কুশিয়ারাসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির তোড়ে বাঁধ ভেঙেছে সুনামগঞ্জে। বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে হবিগঞ্জেও।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত সিলেট নগরী। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ৪ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। তবে, ঢল দ্রুত নামায় প্লাবন বা বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার শঙ্কা নেই বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নিম্নচাপ অতিক্রম করলেও সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টিপাত থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি সিলেটবাসীর। টানা ৩ দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কবলে এক প্রকার হাবুডুবুই খাচ্ছে পাহাড় আর হাওর ঘেরা এই অঞ্চল।
শুক্রবার রাতে বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি নামে সিলেটে। তবে, দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। দুপুর না গড়াতেই আবারও সেই প্রবলবেগে বর্ষণ।
এতে হাটুপানির নিচে নগরীর চৌহাট্টা, হাওয়াপাড়া ও মেডিকেল রোডসহ বেশ কিছু এলাকা। সড়ক থেকে পানি ঢুকে পড়েছে বাসাবাড়ি আর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও। এতে চরম বিপাকে পড়েছে নগরবাসী।
এদিকে নিম্নচাপের কারণে দু’দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে। এর প্রভাবে পানি বাড়ছে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও গোয়াইনসহ আশপাশের ছোট বড় নদীতে। সুনামগঞ্জের সদর ও বিশ্বম্ভরপুরে রাবার ড্যাম উপচে পানি ঢুকছে খরচার হাওরে। তাহিরপুরেও ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রবেশ করছে পানি।
আসাম ও ত্রিপুরার ভারী বৃষ্টিতে বেড়েছে খোয়াই নদীর পানি। তীব্র স্রোতে ধসে গেছে হবিগঞ্জ সদরের নদী তীরবর্তী বাঁধ। দ্রুত মেরামত না হলে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় স্থানীয়রা। তবে, ঢলের পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় প্লাবন স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা নেই, বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে ফেনীর মুহুরী নদীর পানিও। তবে, এখনো বিপদসীমার নিচেই বইছে পানি।
সম্পাদকঃ মাহবুবা আক্তার। অফিসঃ ৭৫ ই-ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক এনওয়াই ১০০০২।ফোন:+৮৮০১৭১২৯০৩৪০১ ই- মেইলঃ dailyhaquekotha@gmail.com
প্রকাশিত সংবাদপত্রের অংশ