প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২৫ , ১:৫২:৪৮

ঢাকাই সিনেমার অমর নায়ক সালমান শাহ—যার সংক্ষিপ্ত চার বছরের অভিনয়জীবনেও তিনি জয় করেছিলেন কোটি ভক্তের হৃদয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে তার রহস্যজনক মৃত্যু গোটা দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল।
দীর্ঘ ২৯ বছর পর সেই মৃত্যুর রহস্য নতুন মোড় নিয়েছে। আদালতের নির্দেশে অপমৃত্যু মামলা এখন রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। আর এই রূপান্তরের পর আবার আলোচনায় এসেছে ১৯৯৭ সালে দেওয়া এক আসামির জবানবন্দি, যেখানে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্ত্রের চিত্র।
সালমান শাহ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভি আহমেদ ফরহাদ তার ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জানান, এটি ছিল “১২ লাখ টাকার একটি খুনের চুক্তি”। তার দাবি, এ চুক্তি করেছিলেন সালমান শাহর শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন অভিনেতার স্ত্রী সামিরা হক, খলনায়ক ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদসহ আরও কয়েকজন।
রেজভির বর্ণনা অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাতে গুলিস্তানের এক বারে খুনের পরিকল্পনা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডন, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ ও রেজভি। ফারুক তখন জানায়, সামিরার মা লুসি ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে সালমান শাহকে “চিরতরে শেষ করতে” বলেছেন।
রাত আড়াইটার দিকে পরিকল্পনামতো ডন, ডেভিড, ফারুক ও আজিজ মোহাম্মদ ভাই সালমান শাহর বাসায় প্রবেশ করেন। তখন ঘুমন্ত ছিলেন সালমান। রেজভির দাবি, সামিরা তাকে ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করেন, পরে ইনজেকশন পুশ করে হত্যা করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডটিকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় লাশ।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে এবার সেই ঘটনাকে “হত্যা মামলা” হিসেবে রমনা থানা নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সালমান শাহর সাবেক স্ত্রী সামিরা হককে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, শাশুড়ি লতিফা হক লুসি, ডেভিড, ফারুক, জাভেদ, রুবি, সাত্তার, সাজু ও রেজভি আহমেদ ফরহাদ।

















