প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২৫ , ১:০৭:০৯

শাহাদাত হোসেন, হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সরকারি বরাদ্দের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ উদ্যোগে এলাকায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ ও একটি জরাজীর্ণ কাঠের সেতু মেরামত করে দিয়েছেন এক বিএনপি নেতা। এর ফলে উপজেলার চানন্দী বাজার সংলগ্ন মৌলভী গ্রাম ও আল আমিন গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হলো।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) সকালে সেতু দুটি স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ব্যতিক্রমধর্মী এ কাজটি করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব।
এ বিষয়ে চানন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মৌলভী গ্রাম ও আলআমিন গ্রাম অনেক অবহেলিত ছিল। মৌলভী গ্রামের এই পথ দিয়ে বাঁশের সাঁকো হয়ে প্রতিদিন হাজারো নারী-পুরুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করতেন। খালের উপর কোনো ব্রিজ বা কালভার্ট না থাকায় দুভোগের অন্ত ছিল না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্থার কর্মসূচি জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে এলাকায় এসেছিলেন বিএনপি নেতা তানভীর। তখন তিনি এ দুর্ভোগের কথা জানতে পারেন। পরে তিনি দ্রুত কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেন। এতে এলাকাবাসীর জন্য অনেক উপকার হয়েছে। ব্রিজটি স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল।
প্রতিটি সেতু গড় দৈর্ঘ্য ৬০-৭০ ফুট এবং প্রস্থ ৭ ফুট। দুটি সেতুতে ইট-সিমেন্টর তৈরি রডের পিলার এবং কাঠের ফালি বা মোটা তক্তা ব্যবহার করা হয়েছে। এখন দুটি সেতু দিয়ে অনায়াসে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত রিকশা যাত্রী ও মালামাল নিয়ে খাল পারাপার হতে পারবে।
চানন্দী ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল তালুকদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চানন্দী খালের উপর ব্রিজের অভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছিলেন মৌলভী গ্রামের বাসিন্দারা। বিভিন্ন সময় ব্রিজের দাবিতে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো ফল মেলেনি। অবশেষে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীবকে জানান। এরপর তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে একটি গ্রামে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ এবং আরেকটি গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা একটি কাঠের সেতু সংস্কার করে দিয়েছেন। আর এর মধ্য দিয়ে দুই গ্রামের প্রায় ৬ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হলো।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব বলেন, স্থানীয় লোকজন তাদের দুরবস্থার কথা জানান। তাদের কথা শুনে কাঠের সেতু নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ করি। ফলে মানুষের যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ হয়েছে। বিষয়টি আগে জানলে সেতুটি আগেই করে দিতাম। সেতুটি করে দিতে পেরে আমি নিজেও খুশি। বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।











