প্রতিনিধি ২৫ নভেম্বর ২০২৫ , ৩:১৪:০৩

ভোলা–ঢাকা নৌপথে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় করে লঞ্চ মালিকপক্ষ। কিন্তু মানবিকতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গায় তারা যে কতটা পিছিয়ে—তার নির্মম প্রমাণ মিললো ঢাকা থেকে ভোলাগামী তাসরিফ সিরিজ-২ লঞ্চে ঘটে যাওয়া হৃদয়বিদারক এক ঘটনায়।
২৪ নভেম্বর ২০২৫—ঢাকা থেকে ভোলাগামী লঞ্চে স্বামীর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক শোকাহত স্ত্রী। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ মরদেহের জন্য কোনো ক্যাবিন বরাদ্দ না দিয়ে তাকে বাধ্য করে শীতের রাতে লঞ্চের খোলা ছাদে বসতে। সেখানে স্বামীর লাশ পাশে রেখে পুরো যাত্রা শেষ করতে হয় তাকে।
এই হৃদয়বিদারক দৃশ্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোলাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের ঝড় ওঠে।
স্থানীয়রা বলছেন—
“প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লাভ করেও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের ন্যূনতম মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নেই। ভোলাবাসীর মরদেহ আনার মতো একটি নির্ধারিত ক্যাবিন পর্যন্ত নেই—এটা অপমানজনক, লজ্জাজনক।”
অন্যরা আরও বলেন—
“অর্থ উপার্জনের লোভে মানুষের কষ্ট, মরদেহের মর্যাদা—কিছুই তারা ভাবে না। মানবিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়।”
জনমতের দাবি—
– ভোলা–ঢাকা রুটের লঞ্চগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে মরদেহ পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট ক্যাবিন ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
– মরদেহ নিয়ে যাত্রীদের খোলা ছাদে বসতে বাধ্য করা বন্ধ করতে হবে।
– মানবিক সেবা নিশ্চিত না করলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভোলাবাসীরা ফেয়ারী শিপিং লাইন্স লিমিটেড ও তাসরিফ সিরিজ-২ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে বলেছেন—
“এমন অব্যবস্থা আর অবহেলা আর সহ্য করা হবে না। মরদেহ পরিবহনের সম্মানজনক ব্যবস্থা না করলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”
এখন সময়—এই অমানবিকতা, অনিয়ম ও অবহেলার বিরুদ্ধে একযোগে সোচ্চার হওয়ার।











