সারাদেশ

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে আড়াই কোটিরও বেশি শিশু

  প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৯:৩৯:১৪

শেয়ার করুন

সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’প্লাস প্রচারাভিযান ও শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এ অভিযানে ২ কোটি ৫৮ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর মহাখালীর নিপসম অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকা কেন্দ্র (ইপিআই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, কর্মসূচি আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫শ জন শিশুকে নীল রঙের ‘এ প্লাস’ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার শিশুকে লাল রঙের একটি করে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচিতে দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট ২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫শ শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে শিশুদের ভরা পেটে কেন্দ্রে আনতে হবে। ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের এসব ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুদের খাওয়ানো যাবে না। দেশজুড়ে ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যসেবাকর্মী এবং ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ভিটামিন শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করবেন।

ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো; শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে বলেও অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

এ প্লাস’ প্রচারাভিযান ও শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়নোর গোটা কর্মসূচি নির্বাহের দায়িত্বে রয়েছে সরকারের জাতীয় পুষ্টিসেবা (এনএনএস) প্রতিষ্ঠান। জানতে চাইলে এনএনএসের লাইন ডিরেক্টের অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘দেশব্যাপী এ প্লাস ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি। তবে পাহাড়, চড় ও দুর্গম এলাকাগুলোতে কোনো শিশু যাতে বাদ না যায় সেজন্য সেখানে অতিরিক্ত চারদিন ক্যাম্পেইন চালানো হবে।’

ইতিমধ্যে সরকারি- বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি এবং প্রতিটি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচিতে এসএমএস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


শেয়ার করুন