প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:২৪:৫৯

ত্রিপোলির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টারে আটক আরও ১৩৬ জন অনিয়মিত বাংলাদেশিকে লিবিয়ার বেনগাজী হতে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।২৮ নভেম্বর ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন, ৩০ নভেম্বর ১১০ জন এবং ৬ ডিসেম্বর বেনগাজী ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন অনিয়মিত বাংলাদেশী নাগরিককে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রত্যাবাসনকৃত ১৩৬ জন বাংলাদেশী নাগরিককে বিমানবন্দরে অবতরণ করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পকেট মানি হিসেবে ৬ হাজার ৫৮ টাকা এবং কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেয়া হয়।এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশিদের খোঁজ খবর নেন। তিনি বাড়ীতে ফিরে লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সাথে আলোচনার পরামর্শ দেন।
মোস্তফা জামিল বলেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপোলির প্রচেষ্টায় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খুব শীঘ্রই আরও অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ভাড়া করা চারটি চার্টার্ড ফ্লাইটে সর্বমোট ৫৩৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

















