কূটনীতিক সংবাদ

মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ  দূতের বৈঠকে যে আলোচনা হলো

  প্রতিনিধি ১৪ জুন ২০২৪ , ১১:৫১:৪৯

শেয়ার করুন

মিয়ানমার জান্তা সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শুয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইয়াঙ্গুনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মনোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপি’ডতে মুখোমুখি ওই সাক্ষাৎ হয়। মিয়ানমার সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় বৈঠকটির কথা প্রচার করে। বাংলাদেশ দূতও এটি অস্বীকার করেননি। মিয়ানমার সরকারের ভাষ্যমতে, উপ-প্রধানমন্ত্রী কাম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ দূতের বৈঠকে দু’দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা রক্ষায় চলমান পারস্পরিক সহযোগিতা এবং দু’দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে কথা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই আলোচনাটা এমন সময় হলো যখন রাখাইনে জান্তা সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। যার প্রভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড টেকনাফ সীমান্ত থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত নৌ চলাচল প্রায়শই বিঘ্ন ঘটছে। এক সপ্তাহে আগে বাংলাদেশি নৌ-যানকে টার্গেট করে গুলি ছোড়া হলে স্থানীয় প্রশাসন বিপজ্জনক ওই রুটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য অত্যন্ত বিপজ্জনক পথটি পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে টেকনাফে চারটি ট্রলার আসার মধ্য দিয়ে নৌ-রুটটি সাময়িকভাবে সচল হয়েছে।

 

সমুদ্রে বাংলাদেশি নৌ-যান আক্রান্ত হওয়ার পরও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত ছিল এবং আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়নেরও আশা করছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুয়ের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত মনোয়ার হোসেন শুক্রবার সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বলেন, এক বছরের মধ্যে এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুয়ের সঙ্গে আমার সপ্তম বৈঠক। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ফর্মাল যোগাযোগের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবারে আমাদের মধ্যকার রুটিন বৈঠকটি হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার সরকার যেমনটি বলেছে। তার বাইরেও আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে। আমরা জানতে চেয়েছি কবে নাগাদ রাখাইন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মিয়ানমার সরকার আশা করে? রাখাইনের অবস্থা যাই হোক, বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফেরানোই (প্রত্যাবাসন) যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান- সেটি আমরা সেই বৈঠকে স্মরণ করেছি। আমরা বলেছি, পরিস্থিতির উন্নতি হলেই যেন প্রত্যাবাসনটি শুরু করা হয়। রাখাইন পরিস্থিতির প্রভাব যেন বাংলাদেশে না পড়ে সে বিষয়টিও আমরা তাদের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরেছি। জান্তা সরকারের সেনাবাহিনী না, আরাকান আর্মি? কার গুলিতে আমাদের নৌ-যান আক্রান্ত হচ্ছে তা নিয়ে মিয়ানমার সরকার অন্ধকারে থাকলেও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট আমরা এটার অবসান চাই। বাংলাদেশ মিয়ানমারের আর কোনো সংঘাতের ভিকটিম হতে চায় না, সেই বলেছি।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content