প্রতিনিধি ২২ মে ২০২৩ , ১১:১৮:০৮
আস-সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনি ভালো আছেন! আজকে আমরা আলোচনা করবো, বাথরুমে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার দোয়া এবং টয়লেটে যাওয়ার নিয়ম বিষয়ে।
নিয়মমাফিক প্রস্রাব-পায়খানা সারতে পারা মহান আল্লাহর বড় নেয়ামত। তাই এই কাজ করার আগে-পরে আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত। মহানবী (সা.) এ বিষয়ে বেশকিছু শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। এখানে কয়েকটি শিষ্টাচারের কথা তুলে ধরা হলো—
১. পায়খানা-প্রস্রাব করার সময় মাথা ঢেকে রাখা।
২. জুতা-সেন্ডেল পায়ে দিয়ে টয়লেটে যাওয়া।
৩. টয়লেটে প্রবেশের আগে দোয়া পড়া—বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবায়িস।
৪. বাম পা দিয়ে টয়লেটে ঢোকা।
৫. কেবলার দিকে মুখ বা পিঠ দিয়ে না বসা।
৬. বসে প্রয়োজন সারা।
৭. প্রস্রাব ও অপবিত্র পানির ছিটা থেকে সতর্কতা থাকা।
৮. ঢিলা-কুলুপ বা টয়লেট টিস্যু ব্যবহারের পর পানি ব্যবহার করা।
৯. ঢিলা ও পানি ব্যবহারে বাম হাত ব্যবহার করা।
১০. প্রস্রাবের ফোঁটা আসা বন্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনে লোকচক্ষুর আড়ালে সামান্য হাঁটাহাঁটি করা।
১১. অপারগ হয়ে খোলা জায়গায় প্রস্রাব-পায়খানা করতে হলে যথাসম্ভব সতর ঢেকে রাখার চেষ্টা করা।
১২. প্রস্রাবের জন্য এমন জায়গায় বসা, যেখানে বসলে প্রস্রাবের ছিটা গায়ে লাগবে না।
১৩. ডান পায়ে বের হওয়া।
১৪. প্রবল বাতাসের দিকে মুখ করে প্রস্রাব না করা।
১৫. অজু-গোসলের জায়গায় এবং স্থির পানিতে প্রস্রাব-পায়খানা না করা।
১৬. মলমূত্র ত্যাগের সময় কথা না বলা।
১৭. রাস্তায়, গর্তে, গাছের ছায়ায়, ফলবান গাছের নিচে প্রস্রাব-পায়খানা না করা।
১৮. হাড্ডি, কয়লা, কাগজ, গাছের কাঁচা পাতা, খাদ্যদ্রব্য, শুকনো গোবর দিয়ে পবিত্রতা অর্জন না করা।
১৯. প্রস্রাব করা অবস্থায় কেউ সালাম দিলে জবাব না দেওয়া।
২০. টয়লেট থেকে বের হয়ে দোয়া পড়া—গুফরানাকা আলহামদুলিল্লা হিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়া-আফানি।
আমরা যখন বাথরুমে প্রবেশ করি, তখন আমাদের দুষ্ট জিনদ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে, কারন এই নোংরা টয়লেট হলো বদ জ্বিনদের আবাসস্থল।
কোনো ব্যাক্তি যখন টয়লেটে প্রবেশের দোয়া না পড়ে বাথরুমে যায়, তখন ওই সকল খারাপ জ্বিনগুলো মানুষের গোপন অঙ্গ নিয়ে খেলা করতে থাকে।
তাই বাথরুমে প্রবেশ করার সময়, আল্লাহ এর কাছে সাহায্য চেয়ে অর্থাৎ দোয়া পাঠ করে টয়লেটে যাবেন তখন ওই বদ জ্বিনগুলো আপনাদের দেখতে পারবেনা। এর কারনে আপনি জ্বিনদের কাছথেকে আপনি পুরো নিরাপদ থাকলেন।
بِسْمِ اللهِ اَللهُمَّ إِنّيْ أَعًوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَ الْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে পুরুষ ও স্ত্রী শয়তানের অনিষ্ট তথা ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)
উচ্চারণ : ‘গোফরানাকা আল্লাহুম্মা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে ক্ষমা চাই।’ (আবু দাউদ)
টয়লেটে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় এই দোয়া গুলো পড়লে দুষ্ট ও বদ জ্বিণের আক্রমন থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।
এই কারণেই হযরত মূহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতদের বলেছেন, বাথরুমে প্রবেশের আগে ও সব সময় আল্লাহ কাছে খারাপ জিনের আক্রমন থেকে রক্ষা চাওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। নবী নিজেও এর উপর আমল করতেন।