সারাদেশ

দাগনভূঞার সিলোনীয়া সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে আমানতকারীদের টাকা লোপাটের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৫ , ৬:১৭:১১

শেয়ার করুন

মো: আলম খন্দকার,দাগনভূঞা প্রতিনিধি: ফেনী দাগনভূঞা উপজেলার সিলেনীয়া বাজার সাউথইস্ট ব্যাংকের একটি শাখা থেকে এফডিআর ও বিভিন্ন হিসাবে সঞ্চিত অর্থসহ গ্রাহকদের টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরিয়ে নেওয়া টাকার পরিমাণ কয়েক কোটি হতে পারে বলে গ্রাহকেরা দাবি করলেও নিশ্চিত করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। জেলার দাগনভূঞা উপজেলার সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গ্রহকেরা টাকা সরানোর বিষয়টি জানতে পারলে ওই কর্মকর্তা গা ঢাকা দেন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তিনি জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম ফতেহনগর এলাকার সালমান হাজী বাড়ির আবদুল হকের ছেলে। জিয়াউল হক সাউথইস্ট ব্যাংকের সিলোনিয়া বাজার শাখায় কর্মরত রয়েছেন।

গ্রাহক ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার বিভিন্ন গ্রাহকের হিবাস থেকে টাকা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে আমানতের অর্থের বিষয়ে খোঁজ নিতে ব্যাংকে ভিড় করেন গ্রাহকেরা। গত কয়েক কর্মদিবসে গ্রাহকেরা এসে ব্যাংকের ওই শাখায় নিজেদের টাকা সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

ব্যাংকের গ্রাহক দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ইমরান হোসেন বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল আমার হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়। এ সময় ব্যাংকে যোগাযোগ করলে ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হক ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি। বিষয়টি জানতে পেরে গত ১ মে ওই ব্যাংক ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামানকে মুঠোফোনে বিস্তারিত জানিয়েছি।’

ব্যাংকের আমানতকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে ৪ মে ওই শাখা ঘুরে গেছেন সাউথইস্ট ব্যাংকের অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা। অডিট কর্মকর্তারা আসার পরে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হক গা ঢাকা দেন বলে জানান আমানতকারীরা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিয়াউল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তার বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাও তথ্য জানাতে পারেননি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সাউথইস্ট ব্যাংক সিলোনিয়া বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রাহকদের আমানতের টাকা ব্যাংক হিসাব থেকে লোপাটের বিষয়টি জানার পর ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অডিট বিভাগের কর্মকর্তারা ব্যাংকের এই শাখায় এসে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। কতজন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে কী পরিমাণ অর্থ সরানো হয়েছে অডিট কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content