প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২৫ , ১০:০৯:০৮

শাহাদাত হোসেন, হাতিয়া প্রতিনিধি-
একবিংশ শতাব্দীর তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের এই সময়ে হাতিয়ার মাটি থেকে গড়ে উঠেছে একটি চেতনা, একটি শক্তি, একটি সাইবার প্রতিরোধের নাম— “হাতিয়া সাইবার জোন”। এটি কোনো একক সংগঠন নয়, বরং এটি একটি মূল্যবোধ, একটি দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি, যেখানে তারুণ্য মিশেছে দেশপ্রেমের সাথে, প্রযুক্তি মিশেছে জাতীয়তাবাদের সাথে।
এই প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ যেন এক নতুন দিনের সূচনা। একটি জনপদের সচেতন যুবসমাজ কীভাবে তথ্যযুদ্ধের ময়দানে দেশের পক্ষে দাঁড়ায়, তার বাস্তব উদাহরণ হয়ে উঠেছে “হাতিয়া সাইবার জোন”।
প্রতিরোধের পথে তারা অগ্রগামী—
হাতিয়ার এই যুবকরা শুধুমাত্র ফেসবুক পোস্ট বা ডিজিটাল ব্যানারে সীমাবদ্ধ নন। তারা সোচ্চার—
১/ মিথ্যা গুজব ও বিভ্রান্তিকর প্রপাগান্ডা রুখে দিতে।
২/ দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপপ্রচারকে যুক্তির ভাষায় মোকাবিলা করতে।
৩/ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে।
তারা বিশ্বাস করে, একটি ক্লিক দিয়ে যেমন বিভ্রান্তি ছড়ানো যায়, তেমনি একটি তথ্যবহুল পোস্ট দিয়ে গঠন করা যায় সচেতনতা। তাই তারা সচেতনতার ডিজিটাল যোদ্ধা।
চেতনার জন্মভূমি: হাতিয়া
দূরদর্শী চিন্তা, অদম্য সাহস আর প্রযুক্তিগত দক্ষতা দিয়ে হাতিয়ার তরুণরা যেন এ সময়ের ডিজিটাল মুক্তিযোদ্ধা। তারা বলছে— “আমরা শুধু পোস্ট দেই না, আমরা প্রতিরোধ গড়ি। আমরা চুপ থাকি না, আমরা সত্য প্রকাশ করি। আমরা হাতিয়া, আমরা বাংলাদেশ।”
এই কণ্ঠস্বর কেবল হাতিয়ায় থেমে নেই— এটি অনুপ্রেরণা হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও।হাতিয়া সাইবার জোন: গর্ব আমার, দায়িত্ব আমাদের!
তারা মনে করে— দেশপ্রেম শুধু আবেগ নয়, এটি একটি দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্ববোধ থেকেই এই জোনের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে অনলাইনে ও অফলাইনে।
“হাতিয়া সাইবার জোন” এখন তরুণ প্রজন্মের কাছে শুধু একটি নাম নয়, বরং এক আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, এক সাইবার চেতনার বাতিঘর।
প্রযুক্তির এই যুগে, গুজব-অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটা যেমন জরুরি, তেমনি জাতীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে ডিজিটাল প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। আর সেই দাবি পূরণে অগ্রগামী “হাতিয়া সাইবার জোন”। বাংলাদেশের স্বার্থে, সত্যের পক্ষে— হাতিয়া সাইবার জোন সর্বদা প্রস্তুত।











