রাজনীতি

মিথ্যা সংবাদে ক্ষুব্ধ গাজীপুরবাসী, সমাজসেবক রাসেল রানার পাশে এলাকাবাসী

  প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২৫ , ৪:৩৫:৩৬

শেয়ার করুন

মোঃ মানিক হোসেন বিজয, গাজীপুর প্রতিনিধি 

সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় “চাঁদা না পেয়ে গাজীপুরে রিসোর্টে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ও সমাজসেবক জনাব মোঃ রাসেল রানা।

প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রাসেল রানা নামে এক বিএনপি নেতা “চাঁদা না পেয়ে টেক কাথোরা এলাকার রিবেরি রিসোর্ট বন্ধ করে দিয়েছেন।” অথচ প্রকৃতপক্ষে ওই সংবাদে উল্লিখিত ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন রাসেল রানা এবং এলাকাবাসী।

তিনি বলেন, “আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা ও সমাজের সামনে খারাপ প্রমাণ করার অসৎ উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমি কখনো রিবেরি রিসোর্টের কাছে কোনো চাঁদা দাবি করিনি, বরং আমি এবং এলাকাবাসী বহুদিন ধরেই এই রিসোর্টে চলমান অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছি।”

রাসেল রানা আরও বলেন, “রিবেরি রিসোর্টটি টেক কাথোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ঠিক পাশে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে এই রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক সেবন, অনৈতিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন অশালীন কর্মকাণ্ড চলে আসছে। বিগত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম চললেও কেউ কিছু বলতে পারেনি। আমি একজন সচেতন নাগরিক ও সমাজসেবক হিসেবে যখন এই অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখনই একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এই ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগেও দুই থেকে তিন মাস আগে এলাকাবাসী এই রিবেরি রিসোর্ট বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয় এবং স্থানীয় পত্রপত্রিকাতেও এ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এলাকাবাসী বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

টেক কাথোরা এলাকার প্রবীণ সমাজপতি মোঃ আবদুল খালেক বলেন,

> “রিবেরি রিসোর্টে বহু বছর ধরে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছিল। এলাকাবাসী বারবার প্রতিবাদ করেছে, এমনকি রিসোর্ট বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভও হয়েছে। রাসেল রানা সাহেব এলাকায় একজন সৎ, নির্ভীক সমাজসেবক হিসেবে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিবেদনটি একেবারেই মিথ্যা ও মানহানিকর।”

 

আরও এক স্থানীয় যুবক মোঃ সোহেল রানা বলেন,

> “রিবেরি রিসোর্টের ভিতরে আমাদের এলাকার কেউ প্রবেশ করতে পারে না। বাইরে থেকে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হয়, যা আমরা বহুবার দেখেছি। রাসেল ভাই এ বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করেছিলেন। অথচ তাঁর নামে উল্টো অপপ্রচার চালানো হয়েছে— এটা দুঃখজনক।”

 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদটি কোনো তদন্ত বা যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা গোপন রেখে একজন সমাজসেবী ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সংবাদটি তৈরি করা হয়েছে।

গাজীপুরের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক সচেতন মহল বলেন, একজন জনপ্রিয় স্থানীয় নেতা ও সমাজসেবককে হেয় করার এ ধরনের সাংবাদিকতা পেশাগত নীতিবিরুদ্ধ এবং সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।

স্থানীয় এলাকাবাসী প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের কাছে সংবাদটির তদন্তপূর্বক প্রত্যাহার এবং রাসেল রানার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার জোর দাবি জানিয়েছেন।


শেয়ার করুন

আরও খবর

Sponsered content