তিনি বলেছেন, “দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে, বিএনপি ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।বঙ্গবাজারসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তা তদন্ত করা দরকার। যারা আজকে মায়া কান্না করেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে নজর দিয়েছে কি না, তা তদন্ত করা দরকার।”
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার আজিমপুর কলোনি মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় কথাগুলো বলেন কাদের।
আগুনে ব্যবসায়ীরা যেমন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তেমনই নিম্ন আয়ের ক্রেতারাও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “কঠিন সময়ে, পবিত্র ঈদের প্রস্তুতি লগ্নে বঙ্গবাজারে যে দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে যেখানে অনেক মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। অনেক মানুষের অনেক আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এই সময়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের সবার প্রিয় বাজার- বঙ্গবাজার…অনেক সাধারণ মানুষ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। সস্তা মূল্যে কিনতে পারবে না সেই দুঃখ, সেই বেদনা অনেক মানুষের মাঝে আছে।”
কাদের বলেন, “সড়ক নিয়ে অনেক কথা বলেন, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ জন যখন মারা গেল, তার মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশের লোক- এখানে তো আপনারা কোনো কথা বলেন নাই; সেখানে তো কাউকে দায়ী করেন নাই। বিএনপি এমন এক বিরোধী দল- যদি বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হয়, তাহলে বলবে এটা আওয়ামী লীগ সরকারের দোষ।”
বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচির দিন আগামী শনিবার আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এই দল অতীতেও মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। তারা মানুষের পাশে নেই, তারা আছে মানুষ কষ্ট পায়- এমন ধরনের কর্মসূচিতে রাস্তা অবরোধ করে রোজার দিনে কিসের কর্মসূচি? আমাদের নেত্রী এই কর্মসূচি দিতে না করেছে। যদি তারা রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করে, মানুষকে কষ্ট দেয়, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে উসকানি, সন্ত্রাস করে; জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা ওই ৩০০ জায়গায় শান্তিপূর্ণ শান্তি সমাবেশ করব।”
বিএনপিকে ‘হাঁটুভাঙ্গা দল’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি’র আন্দোলনের হাঁটু ভেঙ্গে গেছে, তা আর জোড়া লাগবে না। ডিসেম্বর থেকে শুরু করে কত দৌড়াদৌড়ি, কত লোক ঢাকায় বিছানা-বালিশ, থালা-বাটি-কম্বল আয়োজন করল, আজকে কোথায়? ফখরুলের আন্দোলন চলে গেল পদযাত্রায়, তার মানে পতন যাত্রা; পতন যাত্রা থেকে তাদের আন্দোলন রাস্তায় বসে গেল। এখন তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে, বিএনপি হাঁটুভাঙ্গা দল-এখন কি তা আর দাঁড় করানো যাবে?”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বিএনপি’র আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী- তা এদেশের মানুষ দেখে ফেলেছে। এদেশের মানুষ কষ্টের মধ্যেও শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা সৎ মানুষ, মানুষের জন্য তার ভালোবাসা আছে, সেজন্য রাতের বেলায় যে কেউ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। কীভাবে জিনিসপত্রের দাম সামাল দেওয়া যায়। এই দেশের মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঈদ করতে পারে, সেই চিন্তা একমাত্র শেখ হাসিনাই করে।”