প্রতিনিধি ১৩ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৫৪:২৯
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি ভবনের ফ্ল্যাটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১জন আহত হয়েছেন।শুক্রবার ভোরে মো. আল আমিনের মালিকানাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় গ্যাসের চুলার লিকেজে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি পরিবারের ১১ জন আহত হন। যাদের মধ্যে ৬ জন নারায়ণগঞ্জ দেড়শ শয্যা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নেন। বাকি ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় দুই পাশের দেয়াল উড়ে গিয়ে পাশের টিনশেড বাড়িতে পড়ে। শনিবার রাত ১২টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়নের হোসাইনী নগর এলাকায় লক্ষ্মী নিবাস নামের একটি ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটে এই বিস্ফোরণ হয়। ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। আহতরা হলেন- হোসাইনী নগর এলাকার একটি হোসিয়ারি কারখানার মালিক সবুজ খন্দকার (২৫), ওই কারখানার কর্মী মো. রানা (৩০), তার স্ত্রী বিথী (১৮), তাদের শিশু সন্তান, ওই ভবনের ষষ্ঠ তলার বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী আবুল কালাম (৬০) এবং রুবেল (২৮)।
আহতদের মধ্যে দগ্ধ চারজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হলে তিনজনকে ভর্তি করে অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ভর্তি রোগীদের মধ্যে সবুজের শরীরের ৫৫ শতাংশ, রানার ১২ শতাংশ, বিথীর ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রুবেলও অল্প দগ্ধ হয়েছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরউদ্দিন বলেন, ভবনটির পঞ্চম তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণের পর দুই পাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে। পশ্চিম পাশের দেয়ালটি ভেঙে পাশের একটি টিনশেড ঘরের ওপর পড়ে। ওই ঘরে কেউ না থাকায় হতাহত হননি।
বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের ফ্ল্যাটের দরজা, দেয়ালও ভেঙে গেছে, আসবাবপত্র ছিটকে পড়েছে। ফ্ল্যাটের ভেতরে জমা গ্যাস থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ফ্ল্যাটের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডার ও তিতাস গ্যাসের লাইন দুটোই রয়েছে। কোন লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে তদন্তের পর তা নিশ্চিত করে বলা যাবে।